থাপ্পড়: প্রচলিত ধারণা আর ভ্রান্ত পুরুষতন্ত্রের গোড়ায় আঘাত করেছে যে সিনেমা
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
**থাপ্পড় সিনেমাটা যদি না দেখে থাকেন, এই লেখাটা না পড়ার অনুরোধ রইলো। পুরো লেখাই স্পয়লারে ভর্তি, সিনেমা দেখার মজাটা নষ্ট হয়ে যাবে তাতে**
'থাপ্পড়' সিনেমাটা নিয়ে যখনই কাউকে সমালোচনা করতে দেখি, আমি খুব আগ্রহ নিয়ে সেই আলোচনায় অংশ নিই। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, থাপ্পড় নিয়ে সবচেয়ে বড় সমালোচনার জায়গা হচ্ছে- একটা চড়ের কারনে কেন সংসার ভাঙবে? এক ছাদের নিচে দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকলে অনেক কিছুই হতে পারে, তাই বলে সামান্য একটা থাপ্পড়ের জন্য আলাদা হয়ে যেতে হবে? বিশেষ করে ছেলেটা যখন এতবার স্যরি বলেছে, তবুও কেন মেয়েটার মন গললো না? এসব দেখেশুনে আমার মনে হয়েছে, অজস্র মানুষ এই সিনেমাটা ভালো করে দেখেনইনি, এমনকি ট্রেলারটাও মন দিয়ে দেখেননি।
থাপ্পড় যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে দেখেন, সিকোয়েন্স এবং ডায়লগগুলো যদি মিস না করেন, এবং আপনার মনের মধ্যে যদি স্টেরিওটিপিক্যাল পুরুষতন্ত্রের বীজ বোনা না থাকে- তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, থাপ্পড়ের গল্পটা আসলে একটা চড় কিংবা ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়নি। থাপ্পড় বিশাল ক্যানভাসে অনেকগুলো ছোট ছোট গল্প বলেছে, সেখানে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আছে, ম্যারিটাল রেপ আছে, আছে মানিয়ে নেয়ার নামে অন্যায় চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা, আছে সমাজে সফল হওয়া নারীদের প্রতি পুরুষদের বিদ্রুপাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির অন্যরকম কিছু নিদর্শনও। কেউ যখন বলে যে থাপ্পড় আসলে ক্ষুদ্র কারণে সংসার ভাঙ্গার কথা বলেছে, তখন আমার কাছে মনে হয় এই সিনেমাটা আসলে নিজেকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচার কথা বলেছে।
একদম সিকোয়েন্স ধরে ধরে বলি। পার্টির রাতে চড়টা হজমের পরে অমৃতা (তাপসী পান্নু) নিজের রুমে এসে চুপচাপ বসেছিল, তার শাশুড়ি সেখানে এসে বলেছে, সে যেহেতু ঘরের বউ, তার বাইরে যাওয়া উচিত, সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলা উচিত। নইলে সবাই কি ভাববে? মানে, অমৃতার মনের ভেতর কি ঝড় চলছে, সেটার চেয়ে জরুরী হচ্ছে অতিথিদের সামনে শো অফ করাটা! অমৃতার শাশুড়িকে আমি দোষ দেই না, তিনিও জীবনে এটাই শিখেছেন যে, স্বামীর হাতে দু-চারটে চড় স্ত্রীরা খেতেই পারেন, তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয় না।
স্বামীর পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের জবাবে অমৃতা যখন তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিলো, ভাইয়ের প্রেমিকা ছাড়া আর কেউই তাকে সাপোর্ট করেনি। এমনকি অমৃতার মা, যিনি নিজেও একজন নারী, যিনি চোখের সামনে মেয়েকে ভরা মজলিশে চড় হজম করতে দেখেছেন, তিনিও বলেছেন, মেয়েদের একটু সহনশীল হতে হয়, অনেককিছু মানিয়ে নিতে হয়। তিনি তার মায়ের কাছে শিখেছেন, তার মা তার মায়ের কাছে শিখেছেন, এটা একটা চক্র। যে চক্রটা বলে যে, সংসার সামলানোটা মেয়েদের একার দায়িত্ব। স্যাক্রিফাইস করাটাও মেয়েদের জীবনের অংশ। অমৃতার মা বলেছিলেন, মেয়েকে এত বড় করলাম, এত পড়ালেখা করালাম, মেয়ে একদিন ডিভোর্স নেবে- এটা দেখার জন্য? আমাদের সমাজে ডিভোর্সের দায়ভার যে নারীর কাঁধেই চাপানো হয়, এবং ডিভোর্সী নারীকে এই সমাজ 'খারাপ মানুষ' হিসেবেই বিবেচনা করে- সেটারই দারুণ এক প্রতিচ্ছবি এই দৃশ্যটা।
থাপ্পড়ের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে, এই সিনেমাটা সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত- সব শ্রেণীর নারীদের ওপর হওয়া অবিচারের কথা বলেছে। গল্পটা শুধু অমৃতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেখানে হাইপ্রোফাইল ল-ইয়্যার নেত্রা জয়সিং যেমন এসেছেন, তেমনই এসেছে গৃহকর্মীর কাজ করা সুনীতার গল্পও। একজন স্বামীর হাতে ম্যারিটাল রেপের শিকার হন, আরেকজন গতর খেটে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করার পরেও মদ্যপ স্বামীর মার সহ্য করেন।
লিগ্যাল নোটিশের বিস্তারিত জানার জন্য অমৃতা যখন প্রথমবার নেত্রার চেম্বারে গেল, নেত্রা এবং অমৃতার ওই কয়েক মিনিটের কথোপকথনটা পুরো সিনেমার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ। আপনারা বলবেন, একটা থাপ্পড়ে কি এমন হয়? আমি বলি একটা থাপ্পড়ে কি হয়, একটা থাপ্পড়ে একজন মানুষের গোটা দুনিয়া টলে ওঠে, তার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে ওঠে, সংসারের জন্য নিজের শখ বিসর্জন দেয়া একজন নারী হঠাৎই আবিস্কার করে, ভালোবাসার যে তাজমহলটা সে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিল, সেখানে সে আসলে ভীষণ অপাংক্তেয় একজন। ওই থাপ্পড়ের মাধ্যমে তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয় সে কত ক্ষুদ্র, সেই থাপ্পড়টা তাকে পরজীবী হয়ে বাঁচার বিশ্রী একটা অনুভূতি এনে দেয় মনের ভেতর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ থেকে একশো বছর আগে লিখেছিলেন- 'এই অঞ্চলের পুরুষেরা ভাবে স্ত্রী মানে ঘরের চৌহদ্দিতে থাকা সহজলভ্য একটি ‘বস্তু’। স্বামীটি তাঁকে ভালোবাসেন না তা নয়, কিন্তু তাঁর যে আলাদা মর্যাদা আছে, গুরুত্ব আছে, এ কথা যেন মনেই থাকে না। এ দেশে যুগে যুগে কমবেশি এ রকমই চলেছে। কিন্তু এখন আর ঠিক সেভাবে চলছে না...' অনুভব সিনহা দেখিয়েছেন যে, একশো বছর পেরিয়ে গেলেও, মোটাদাগে উপমহাদেশের পুরুষদের মানসিকতা খুব একটা বদলায়নি। নারীদের বিষয়ে তো একদমই না।
একটা দৃশ্য আছে থাপ্পড় সিনেমায়, বিক্রম (অমৃতার স্বামী) অফিসের জন্য গাড়ি নিয়ে বেরুচ্ছে, একই সময়ে নতুন গাড়ি নিয়ে শিবানীও (দিয়া মির্জা) কোথাও যাচ্ছে। শিবানীর নতুন গাড়ি দেখে বিক্রম বাঁকা স্বরে বলেছিল- 'আবার নতুন গাড়ি? করে কি এই মহিলা?' একজন নারী যে নিজের পরিশ্রমে কোটি টাকার মালিক হতে পারে, সাফল্যের সিঁড়ি ভাঙতে পারে, জামা বদলানোর মতো করে গাড়িও বদলাতে পারে- সেটা অ্যাক্সেপ্ট করার মতো মানসিকতা এখনও সমাজের তৈরি হয়নি। কর্পোরেট অফিসগুলোতে নারী কর্মচারীরা প্রমোশন পেলে কানাঘুষো শুরু হয়, বসের রুমে কোন নারী কর্মীর ডাক পড়লে সবাই বাঁকা চোখে তাকায়- এসব তো আমাদের দিনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজেই কোন পুরুষের ছায়াতলে না থেকেই একজন নারী যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়, তখন তার দিকে বক্রদৃষ্টিতে তাকানোর মানুষের অভাব হয় না। থাপ্পড় এই র্যাডিক্যাল পেট্রিয়ার্কির বিরুদ্ধেও কথা বলেছে চমৎকারভাবে।
থাপ্পড় সিনেমাটার মূল যে মেসেজটা, সেটা আসলে হিট অফ দ্য মোমেন্টে হওয়া ওই থাপ্পড়টার বিপক্ষে নয় শুধু। সিনেমাটা মূলত কথা বলেছে সেই থাপ্পড়টাকে হালাল করে দেখানোর যেসব বুলশিট টাইপের অপচেষ্টা পুরো সিনেমায় বাদবাকি চরিত্রগুলো করেছে, সেটার বিরুদ্ধে। অমৃতার মা থেকে ভাই, এমনকি উকিল নেত্রাও তাকে বুঝিয়েছে যে 'সামান্য' একটা থাপ্পড়ের জন্য ডিভোর্স নেয়াটা উচিত হবে না। সবার চোখে ডিভোর্সটা আনফেয়ার, কিন্ত থাপ্পড়টা নয়। এই ধারনাটা যে কত বড় প্রহসন, সেটাও অনুভব সিনহা দেখিয়েছেন আরেকটা দৃশ্যে।
পার্টির পরদিন সকালে বিক্রম যখন এসে অমৃতাকে স্যরি বলে, ওই সিকোয়েন্সটা মন দিয়ে দেখতে পারেন। বিক্রম অমৃতাকে জানায় যে, সে চাকরিটা ছেড়ে দেবে। কারন কোম্পানীটাকে তার আর আপন মনে হচ্ছে না। যে প্রতিষ্ঠানের জন্য সে এত ত্যাগ স্বীকার করলো, এতকিছু করলো, তারা তাকে মূল্যায়ন করলো না! এখানে থেকে আর কী হবে? এই সংলাপগুলোর সঙ্গে এবার অমৃতাকে মেলান। যে সংসারের জন্য অমৃতা নাচ শেখা বাদ দিলো, গৃহিণী হয়ে জীবন কাটানোটাকে নিজের এইম ইন লাইফ বানিয়ে ফেললো, স্বামীর স্বপ্নগুলোকে নিজের স্বপ্ন বানিয়ে নিলো- সেই সংসার যখন একগাদা লোকের সামনে তাকে চড় মারার লজ্জা উপহার দেয়, অমৃতার কি অধিকার নেই সেই সংসার ছেড়ে আসার?
এই উপমহাদেশে কমবেশি সব পরিবারে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ব্যাপারটা আছে, ছোটখাটো আকারে হলেও আছে। আমরা এসবের মধ্যে দিয়েই বড় হই, এগুলোকে স্বাভাবিক ব্যাপার ভাবতে শিখি। একারনেই অমৃতা যখন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমাদের মনে হয়, আরে, এত ওভার-রিয়্যাক্টের কি আছে? একটা থাপ্পড়ই তো, প্রাণে তো মেরে ফেলেনি! আপনি ভেবেছেন, আরে এটা তো নরমাল, এসব তো সংসারে হয়ই। কারন আপনি আপনার পরিবারে এই জিনিস দেখেছেন, সমাজে দেখেছেন। কিন্ত কখনও এটাকে অস্বাভাবিক হিসেবে ভাবেননি। থাপ্পড় আপনার সেই ভুল ভাবনাটার গোড়ায় কষে চড় লাগিয়েছে।
আপনি বিক্রমের স্যরি বলা দেখেছেন, দেখেননি এক সেকেন্ডের ব্যবধানে অমৃতার পুরো দুনিয়া, তার স্বপ্ন, সবকিছু ধুলিস্যাৎ হয়ে যাওয়াটা। আপনি অমৃতার দীপ্ত তেজকে জেদ ভেবেছেন, সেই জেদ তৈরি হবার পেছনের গ্লানি আর যন্ত্রণাটা অনুভব করতে পারেননি একদমই। আপনি কেবল ওই এক সেকেন্ডের থাপ্পড়টাই চোখে দেখেছেন, মানসিক আঘাতের পাশাপাশি সেই থাপ্পড়টা যে অমৃতার চোখের সামনে অজস্র আনফেয়ার ইনসিডেন্টকে তুলে ধরেছে, যেগুলো সে এড়িয়ে যাচ্ছিল, মুভ অন করে যাচ্ছিল- অমৃতার পাশাপাশি সেই ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করেছে খুব কম দর্শকই।
অমৃতা শুরু থেকেই নিজের জায়গায় সৎ ছিল, জোর করে সে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চায়নি, চায়নি স্বামীর নামে মামলা করে সম্পত্তির ভাগ আদায় করতেও। সে শূন্য থেকে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে চেয়েছে, তার উকিলের পরামর্শও তাকে নিজের ওই ফেয়ার পলিসি থেকে সরাতে পারেনি। স্বামীকে মুখের ওপরেই সে বলে দিয়েছে, তোমার প্রতি আমার এখন আর ভালোবাসা কাজ করে না। আপনি বলতে পারেন, এ কেমন ভালোবাসা যে একটা থাপ্পড়েই শেষ হয়ে যায়? তাহলে আপনি ভালোবাসার সংজ্ঞাটাই জানেন না। যেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকে না, সেখানে ভালোবাসা থাকা অসম্ভব। আমি রেগে গিয়ে কাউকে চড় মারছি মানে সেই মানুষটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা নেই, আবার আমার হাতে যিনি চড় হজম করছেন, তিনিই বা আমাকে ভালোবাসবেন কী করে? অমৃতা তার জীবনে দুটো জিনিস সবচেয়ে বেশি চেয়েছিল- সম্মান আর সুখ। থাপ্পড়টার পর বিক্রমের কাছ থেকে তার এই দুটোর কোনোটাই পাবার ছিল না আর।
অনেকে থাপ্পড়কে নারীবাদী সিনেমা বলে। একটা থাপ্পড়ের প্রতিবাদ করার জন্য নারীবাদী হওয়ার দরকার পড়ে না, সেন্সিবল মানসিকতার মানুষ হলেই চলে। থাপ্পড় নারীবাদী সিনেমা কিনা, সেই তর্কে যাব না, সিনেমাটার তিনটা চমৎকার ব্যাপার বলি। বিক্রমকে প্রথম চোখে আঙুল দিয়ে তার ভুলটা কে দেখিয়েছিলেন মনে আছে? তার অফিসের বস, যার নাম রাজন, তিনি একজন পুরুষ। নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে বিক্রমকে তিনি বলেছিলেন, 'বিক্রম, দোষটা কিন্ত তোমার ছিল। সেই রাতে তুমি আমার ওপর এত রেগেছিলে, কই, আমাকে তো থাপ্পড় দাওনি, দিয়েছো তোমার স্ত্রীকে।' বিক্রমের মধ্যে সত্যিকারের অপরাধবোধটা তখনই এসেছে।
তারপর থাকেন অমৃতার বাবা, পুরো গল্পজুড়ে তিনি মেয়েকে নীরব সমর্থন দিয়ে গেছেন, আগলে রেখেছেন। অমৃতার স্বামী যখন বলেছে যে ভুল হয়ে গেছে, তখন তিনি খুব স্পষ্ট করেই বলেছিলেন- ভুল হয়েছে সেটা বড় কথা না, ভুলটা কেন হলো, সেটা খুঁজে বের করা দরকার। তার সাপোর্টটা না পেলে অমৃতা হয়তো এই বন্ধুর পথে হাঁটার সাহসটা করতে পারতো না। নিজের ছেলে যখন প্রেমিকার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে, তখন তিনি ছেলের পক্ষে না গিয়ে মেয়েটার পাশেই দাঁড়িয়েছেন, ভদ্রলোক যে ন্যায়ের পক্ষে, সেটা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বারবার।
আরেকজন চমৎকার পুরুষের গল্প আমাদের শুনিয়েছে এই সিনেমাটা, তার নাম জেমস, শিবানীর মৃত স্বামী। যে পুরুষকে ভালোবেসে আজও শিবানী একা রয়ে গেছে, অন্য কাউকে মনে জায়গা দিতে পারেনি। যাকে ভেবে শিবানী বলতে পারে, ম্যান আর ওয়ান্ডারফুল পিপল! যার সাথে সম্পর্কে 'ইফোর্ট' দেয়ার ব্যাপারটা ছিল না, ভীষণ স্মুথলি চলতো সবকিছু। যার ভালোবাসা শিবানীকে দেউলিয়া করেছে, মৃত্যুর পরও যাকে ভালোবেসে যাওয়া ছাড়া শিবানী আর কোন অপশনের কথা ভাবতেও পারে না- এমন অসাধারণ একজন পুরুষের ছবি যে সিনেমায় আঁকা হয়েছে, সেটাকে আমি কোনোভাবেই 'নারীবাদী সিনেমা' হিসেবে ট্যাগ দিতে রাজী নই।