২৬ মার্চ মুক্তি পেয়েছে তৌকীর আহমেদের সপ্তম ছবি 'স্ফুলিঙ্গ'। এতে অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা। ওটিটিতে একের পর এক দুর্দান্ত কাজ, তারপর স্ফুলিঙ্গে দুটি টাইমলাইনের দুটি চরিত্রে অভিনয় করা- সব মিলিয়ে শ্যামল মাওলা এখন নেটিজেনদের আলোচনার 'হট টপিক'। সিনেগল্পের মুখোমুখি হয়েছিলেন শ্যামল মাওলা, উত্তর দিয়েছেন স্ফুলিঙ্গ নিয়ে নানান প্রশ্নের।

করোনা পরিস্থিতিতে এই যে মহামারী কিংবা সার্বিক পরিস্থিতি; মানুষ সেভাবে হলে যেতে পারছে না বা যেতে চাইছে না। এমন সময় স্ফুলিঙ্গ মুক্তি পেল। এই নিয়ে যদি কিছু বলার থাকে…

শ্যামল: মহামারীর এই সময়ে আসলে ব্যাড লাক ছাড়া আর কিছু বলব না। কারণ এত ভালো একটা মুভি এত কষ্ট করার পরেও যদি দর্শকেরা হলে গিয়ে ছবিটা দেখতে না পারে, তাহলে আসলে আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক বিষয়। সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে আসলে ব্যাড লাকই বলব। কিন্তু আশা রাখি যে, ভালো কাজের তো আজ হোক, কাল হোক, একটা স্বীকৃতি পাওয়া যায়। সো, এটা ভালো কাজ, আশা করছি ভালো একটা সময় আসলে এই ভালো কাজের স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। আর দর্শক যদি এখনো দেখতে চায়, দেখতে পাবে। এখনো চলছে, এই করোনার মধ্যেও। দেখলে ভালো লাগবে।

স্ফুলিঙ্গ’র পার্থ’র সাথে শ্যামল মাওলার কতটুকু মিল বা অমিল আছে?

শ্যামল: অতটা হয়তো ভালো বলতে পারব না, তবে মনে হয় চিন্তা-চেতনার জায়গাটায় মিল আছে। আর বাকি যে ঘটনাগুলো পার্থ’র সাথে ঘটেছে, সেগুলো তো আমার সাথে হয়নি… তাই তুলনা করাটা আসলে কঠিনই।

পার্থ ক্যারেক্টারটি ফলো করতে গিয়ে কাউকে কি ফলো করেছেন? ভার্সিটির ফ্রেন্ড, কিংবা কোনো বড় ভাই…

শ্যামল: সত্যি কথা বলতে আমি আসলে পিন্টুদাকে ফলো করেছি। কারণ বাস্তবে যাদের কাছ থেকে দেখেছি, তাদের সাথে আসলে পার্থ ক্যারেক্টারটির মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাই সেই জায়গাটায় পিন্টুদাকে ফলো করেছি। দাদা তো অন্যরকম একজন মানুষ।

স্ফুলিঙ্গ শ্যামল মাওলা
স্ফুলিঙ্গে দুটি টাইমলাইনের দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা

সিনেমাতে আমরা দুটি টাইমলাইন দেখতে পাই। একটি বর্তমান সময়ের, আরেকটি একাত্তরের। আপনার এই দুটি রোলের মাঝে কোন ক্যারেক্টারটা প্লে করা একটু বেশি টাফ ছিল?

শ্যামল: আমার জন্য আসলে এখনকার সময়ের যে পার্থ ক্যারেক্টারটা, সেটি করা একটু বেশি টাফ ছিল। একাত্তরের ক্যারেক্টারটা ডিল করা খুব বেশি টাফ মনে হয় না। কারণ ছোটবেলা থেকে মনের ভেতরে বা যেভাবেই হোক, আমরা সেই সুপারহিরোদের যেভাবে কল্পনা করেছি, ঠিক সেভাবেই আসলে এই ধরণের পিরিয়ডিক্যাল কন্টেন্টগুলোতে আমার বেশি কাজ করা হয়েছে বলে, আমি সেই জায়গাটা অনুভব করতে পারি। সে জায়গা থেকে বরং পার্থ ক্যারেক্টারটা করা চ্যালেঞ্জ ছিল আমার জন্য।

মাল্টিস্টারার সিনেমা বা কন্টেন্টগুলোতে যখন অনেকগুলো গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাজ করেন, সেক্ষেত্রে নিজের মাঝে একটু কি ইনসিকিউরিটি কাজ করে কিনা যে আমি কি সেভাবে পোর্ট্রে হবো কি? এতগুলো আর্টিস্টকে স্ক্রিনটাইম দিতে হবে...

শ্যামল:  খুব ছোট একজন অভিনেতা হিসেবে বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পাশে কাজ করার সুবিধে হচ্ছে তাদের কাছ থেকে সব সময়ই কিছু না কিছু শেখা যায়, অনেক কিছু নেয়া যায়। যেই নেয়াটা আমার কিছু দেয়ার চাইতে অনেক অনেক বেশি। আমি তখন সারেন্ডার করি আমার ক্যাপ্টেন, আমার কো-আর্টিস্টদের কাছে। এবং যে-ই ফ্লো-তে ক্যাপ্টেন আমাকে নিয়ে যাবে, আমি সেভাবেই এগুতে থাকি। আমার ক্যারেক্টার পড়ে যাচ্ছে কিনা, আমি এগুলো নিয়ে একদমই ভাবি না।

আরও পড়ুন-

শ্যামল মাওলা: বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অবিসংবাদিত রাজা

যে ৫টি কারণে দেখবেন স্ফুলিঙ্গ


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা