প্রথম সবকিছুই বিশেষ। সে উপন্যাসের প্রথম লাইনই হোক কিংবা প্রথম প্রেম। কিংবা প্রথম সিনেমা। এবং এসবের পাশাপাশি উপরিপাওনা হিসেবে অভিষেকেই যদি হৃদয়ে ক্ষত করার মতন একখণ্ড সৃষ্টির বরাতে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়া যায়, প্রথম সৃষ্টিতেই যদি কাঁপিয়ে দেয়া আশেপাশের সমসাময়িক সবকিছুকে, তার চেয়ে রাজযোটক আর কীই বা হতে পারে?

চিলির রাজনৈতিক কবি পাবলো নেরুদা বলেছিলেন-

কবিতার প্রথম লাইন স্বর্গ থেকে আসে।

সব্যসাচী লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন-

উপন্যাসের প্রথম লাইন আমি লিখি না। কে যেন ভেতর দিয়ে লিখিয়ে নিয়ে যায়। 

কবিতা-উপন্যাস থেকে চোখ আনা যাক প্রেমে। পোড়খাওয়া লেখক, প্রাবন্ধিক, শিল্পীরা কালে কালে যুগে যুগে বলে গিয়েছেন- 

প্রথম প্রেম ভোলা যায় না। প্রথম প্রেমের পেলব স্মৃতি বরাবরই অপার্থিব। 

কথাপ্রসঙ্গে মনে পড়ছে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস- 'নন্দিত নরকে'র কথা। প্রথম উপন্যাসেই যেন তিনি জানান দিয়েছিলেন, বাংলাসাহিত্যের কাঠামোকে ছেনে খেলে একাকার করতেই তিনি এসেছেন। বা তিনিই যখন আবার জীবনের প্রথম সিনেমা 'আগুনের পরশমণি' বানালেন, আমরা দেখলাম নির্মাতা হিসেবে উঠে আসা আরেক হুমায়ূন আহমেদকে। অভিষেকের 'আগুনের পরশমণি'র সে মুগ্ধতা থেকে এখনও কি বিযুক্ত হতে পেরেছি আমরা? বোধহয় না। আচ্ছা, সবকিছু নাহয় বাদ দিলাম। প্রথম কীর্তি দিয়েই সসাগরা পৃথিবী কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন একজন বাঙ্গালী নির্মাতা। মনে আছে তাঁর নাম? হ্যাঁ, সত্যজিৎ রায়। কীর্তির নাম- পথের পাঁচালী। এই সিনেমা যেভাবে বিশ্ব-মানচিত্রের একেক খণ্ডে পৌঁছে তীব্র আলোড়ন তুলেছিলো, সে নিয়ে গবেষণা হয় আজও। 

উপরের এসব আলোচনার অন্তর্নিহিত অর্থ কী? কেন 'প্রথম' নিয়ে এত গৌরচন্দ্রিকা? কারণ আছে। উপরের এই প্রাথমিক আলোচনার সারমর্ম এটাই বোঝানো যে, প্রথম সবকিছুই বিশেষ। সে উপন্যাসের প্রথম লাইনই হোক কিংবা প্রথম প্রেম। কিংবা প্রথম সিনেমা। এবং এসবের পাশাপাশি উপরিপাওনা হিসেবে অভিষেকেই যদি হৃদয়ে ক্ষত করার মতন একখণ্ড সৃষ্টির বরাতে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়া যায়, প্রথম সৃষ্টিতেই যদি কাঁপিয়ে দেয়া আশেপাশের সমসাময়িক সবকিছুকে, তার চেয়ে রাজযোটক আর কীই বা হতে পারে?

আজকে তাই কথাবার্তা এমন দশটি সিনেমা নিয়ে, বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির যে সিনেমাগুলো মুক্তির পরে যেমন পাল্টে দিয়েছিলো সেই বিশেষ ইন্ডাস্ট্রির সিনেমার কাঠামো, তেমনি নির্মাণগুলো খুলে দিয়েছিলো ভিন্ন বোধের দরজাও! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি সিনেমাই ছিলো নির্মাতাদের প্রথম সিনেমা। আজকে কলমের ডগার কারিকুরি নিয়োজিত রইলো এরকম চমকপ্রদ আনকোরা বিস্ময়ের দশ কীর্তি নিয়েই। 

১. দিল চাহতা হ্যায় (হিন্দি)

নির্মাতা হিসেবে ফারহান আখতারেরও যেমন প্রথম সিনেমা 'দিল চাহতা হ্যায়', প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান 'এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট'এরও প্রথম সিনেমা এটি। এবং অভিষেক সিনেমাতেই যে দুর্দান্ত চমক দেখিয়েছিলেন ফারহান আখতার, তা যতটা না বিস্ময়কর, তার চেয়ে বেশি ঐতিহাসিক। আকাশ, সিড ও সামিরের বন্ধুত্বের গল্পের সারল্য, জটিলতা ও উত্থানপতন এমন এক ন্যারেটিভের মুখোমুখি করেছিলো বলিউডকে, যে ন্যারেটিভ বলিউডের বিগত অতীতে ছিলো বিস্তর বিরল। এবং গুরুত্বপূর্ণ এটাই, বর্তমান সময়ে এসেও এ সিনেমার প্রাসঙ্গিকতা কমেনি একবিন্দু৷ 'দিল চাহতা হ্যায়' এর এই অক্ষয় প্রাসঙ্গিকতাই এই নির্মাণের চমৎকারিত্বের প্রধানতম সূচক। নিঃসন্দেহে। 

দিল চাহতা হ্যায়! 

২. অটোগ্রাফ (বাংলা)

সৃজিত মুখার্জির অভিষেক এ সিনেমা যেভাবে পাল্টে দিয়েছিলো টালিউডের ফিল্ম স্ট্রাকচার, তা অবিস্মরণীয়। বস্তাপচা কমার্শিয়াল সিনেমার একঘেয়ে স্ট্রাকচারকে টপকে সৃজিত মুখার্জির ইতিহাস গড়া এ নির্মাণে তিনি কর্মাশিয়াল ফিল্মের সাথে আর্ট ফিল্মের যে কোলাবোরেশান করেছেন এবং সেখানে কর্মাশিয়াল সিনেমার প্রধানতম হিরোকে 'প্রোটাগনিস্ট' রেখে সমকালীন এক গল্পকে সাধারণ জনতার বয়ানে তুলে ধরার যে অসাধ্যসাধনটি করেছেন, এ কাজ বাংলায় এর আগে হয়নি খুব একটা। সৃজিত মুখার্জির ইদানিংকালের নির্মাণ নিয়ে হয়তো আমরা ক্ষণেক্ষণেই উষ্মা প্রকাশ করি, কিন্তু এটাও ভুলে গেলে চলবে না, ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন তিনি ছক্কা হাকিয়েই। গল্প, অভিনয় কিংবা গান...সিনেমার যাবতীয় বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন চকমকি পাথরের স্পর্শ।  

অটোগ্রাফ! 

৩. দ্য লাঞ্চবক্স (হিন্দি) 

রিতেশ বাত্রার ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা 'দ্য লাঞ্চবক্স' এ মুগ্ধতার এত অজস্র উপকরণ, এবং প্রতিটি উপকরণ নিয়েই এত এত কথা হয়েছে, আলাদা করে নতুন কিছু বলা তাই অনেকটাই মুশকিল। তবে এটুকুই বলার, প্রেমের গল্পকে এরকম আনকনভেনশনাল স্যাক্রেড ওয়েতে ট্রিট করার কাজ খুব কম নির্মাতাই করেছেন আগে-পরে। তাছাড়া ইরফান খানের অভিনয় কিংবা রিতেশ বাত্রার ক্যামেরার কাজ, কিংবা গল্পের অভিনব বিন্যাস অথবা শেষের অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি...'দ্য লাঞ্চবক্স'কে সিনেমা কম, উপন্যাস মনে হয় বেশি। যে উপন্যাস স্থানু করে রাখে বইয়ের সাথে। শুরু থেকে শেষতক। যাবজ্জীবন। 

দ্য লাঞ্চবক্স! 

৪. মহেশিন্তে প্রতীক্ষারাম (মালায়ালাম) 

অভিনেতা থেকে নির্মাতায় রূপান্তরিত হওয়া দিলিশ পোঠানের প্রথম সিনেমা 'মহেশিন্তে প্রতীক্ষারাম' এর প্রথম চমক এটিই যে এখানে তিনি খুব সহজ-সরল এক গল্পকে অজস্র মেটাফোরের সম্মিলনে দারুণ এক সামাজিক গল্পে রূপান্তরিত করেছেন। 'মহেশ' নামের এক স্টুডিও মালিকের জীবনের কিছু ঘটনা-পরম্পরার মাঝখান দিয়ে যেরকম করে জীবনবোধের নানা আঙ্গিক উঠে এসেছে, তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষিতে মালায়ালাম সিনেমার জন্যে এই বিষয়টি ছিলো আনকোরা নতুন। বলা বাহুল্য, দিলীশের পরবর্তী সিনেমা- 'ঠন্ডিমুঠালাম দৃক্সাশিয়াম' কিংবা 'জোজি'তেও আমরা দেখেছি সূক্ষ্ম জীবনবোধ এবং সাটল মেটাফোরের অজস্র নিদর্শন। দিলীশ, মেটাফোরের সাটল ট্রিটমেন্টকেই বানিয়েছেন তার নির্মাণের সিগনেচার স্টাইল!

মহেশিন্তে প্রতীক্ষারাম! 

৫. অর্জুন রেড্ডি (তেলেগু) 

সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার এ সিনেমা বক্সঅফিসেও যেমন রেকর্ড ভাঙ্গচুর করেছে, তেমনি, সিনেমার প্রোটাগনিস্ট, অবসেসিভ প্রেমিক অর্জুন রেড্ডিও নিজের প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্যে কম অনাচার ঘটাননি স্ক্রিনে। সন্দীপ রেড্ডির প্রথম সিনেমা যেভাবে প্রেম-ভালোবাসার যাপিত সংজ্ঞাকে আগ্রাসীভাবে ঘুরপাক খাইয়েছে, তা তুমুল বিস্ময়ের। আহামরি কোনো স্টারকাস্ট না নিয়েও এ সিনেমা যেভাবে বক্স অফিস কাঁপিয়েছে কিংবা কর্মাশিয়াল সিনেমার ভিন্ন এক স্টান্ডার্ডই তৈরী করেছে, তা নিয়ে আলোচনা কী কমেছে আজও? বোধহয় না। প্রপার কর্মাশিয়াল ফিল্ম এবং সে সাথে আনঅর্থোডক্স কিছু কনসেপ্টের ব্লেন্ডার...'অর্জুন রেড্ডি' দিয়ে ইনিংস শুরু করে যেভাবে গ্যালারির হাততালি পেয়েছেন সন্দীপ রেড্ডি, তা নবাগত অনেকের জন্যে প্রবল ঈর্ষার বিষয়।

অর্জুন রেড্ডি! 

৬. কথানদী (আসাম)

ভাস্কর হাজারিকার সিনেমা 'আমিষ' নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা হয়েছে। সামনেও হবে। নির্মানের চমৎকারিত্বে এ সিনেমা হতবাক করেছে প্রায় সবাইকেই। তবে এ নির্মাতার প্রথম যে সিনেমা; কথানদী, সেটিও কিন্তু কম রোমহষর্ক এবং রহস্যময় না। বিবাহ, পুনর্জন্ম, দোষমুক্তি এবং হত্যাকে কেন্দ্র করে চারটি গল্প, যেখানে প্রোটাগনিস্ট মা, মাতৃত্ব। সেখানে আছে কিছু কুসংস্কার, কিছু গা শিরশিরে অনুভূতিও। তাছাড়া ভাস্কর হাজারিকার নির্মাণের যে অভিনবত্ব, তাও আছে বহাল তবিয়তেই। সবমিলিয়ে 'কথানদী' এক অন্য অভিজ্ঞতার সিনেমা। অনেকেই এই সিনেমা নিয়ে জানেন না। তবে যারা জানেন, তারা এই সিনেমাকে যে পছন্দের তালিকার শীর্ষেই রাখেন বরাবর, তা নিয়ে সন্দেহ নেই মোটেও। 'আসামিজ ইন্ডাস্ট্রি'তে আমিষ যেমন ছিলো এক চমক। তেমনি 'কথানদী'ও আরেক চমক। বিস্ময়কর চমক। রূপকথার চমক। 

কথানদী

৭. তিথি (কন্নড়) 

কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমা নিয়ে গডফাদার-নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কাপোলা যেমন ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন, তেমনি একগাদা আন্তর্জাতিক পুরস্কারও অর্জন করেছিলো রাম রেড্ডির এই অভিষেক নির্মাণ। সারকাজম, কালচারাল ডাইভার্সিটি এবং মেটাফোরের মিশেল এ সিনেমা শুরু হয় কন্নড়ের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে। যেখানে শতবর্ষী এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পরে সেই বৃদ্ধের জমিজিরেত নিয়ে ভাগাভাগি  কোন্দল শুরু করে তার আত্মীয়েরা৷ হিউমার ও সারকাজমের মিশেলে যেভাবে এ গল্পকে নেতৃত্ব দেন রাম রেড্ডি, তা কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেই এক বিরল অভিজ্ঞতা। অপেশাদার কুশীলব এবং আনঅর্থোডক্স ক্যামেরা যেভাবে গল্পকে এক ভিন্ন স্বাদের সন্ধান দেয়, সেটি তুমুল আকর্ষণীয়। পাশাপাশি প্রশংসনীয়।

তিথি

৮. পারিয়েরাম পেরুমল (তামিল)

মারি সেলভারাজের অভিষেক সিনেমা 'পারিয়েরাম পেরুমল' এর গল্প গুমোট, অস্বস্তি এবং দমবন্ধের। প্রোটাগনিস্ট 'পারিয়েরাম'কে কেন্দ্র করে এগোনো গল্পে যেভাবে ক্রমশ উঠে আসে সামাজিক রূঢ়তা, জাতপ্রথার ভয়াল সব আখ্যান, তা ক্ষণেক্ষণে যেমন শঙ্কিত করে, তেমনি সিনেমাকেও গুনগতমানে পৌঁছে দেয় ভিন্ন উচ্চতায়। সোশ্যাল ব্রুটালিটি এবং সাইকোলজিক্যাল কমপ্লেক্সটির এরকম এক আখ্যাণের নির্মাতা হয়ে মারি সেলভারাজ শুরু থেকেই চলে আসেন পাদপ্রদীপের তলে। গল্পের মধ্যে দিয়ে সামাজিক নানা বর্বর প্রথাকে কটাক্ষ করার এই যে দৃষ্টান্ত, তার রোলমডেল হিসেবে 'পারিয়েরাম পেরুমল' পৌঁছে যায় অন্য উচ্চতায়। যেটা এই নির্মাণের সবচেয়ে বড় গুণ। 

পারিয়ারাম পেরুমল! 

৯. হেলারো (গুজরাট) 

গুজরাটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা নিয়ে কথাবার্তা খুব একটা হয় না৷ কারণ সেরকম আলোচনা করার মতন সিনেমা তাদের খুব একটা নেই। তবুও 'গোবরে পদ্মফুল' এর মতন এই গুজরাট ইন্ডাস্ট্রিতেও অভিষেক শাহ আবির্ভূত হন তার প্রথম নির্মাণ- 'হেলারো' নিয়ে। যে নির্মাণে ঐতিহাসিক নানা গলিঘুঁজির সূত্র ধরে ক্রমশ গল্প পৌঁছায় গুজরাটের স্থানীয় ঐতিহ্যের গভীর শাখাপ্রশাখায়। যেখানে কুসংস্কার আছে। বঞ্চনা আছে। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বিষবাষ্প আছে। দারুণ দারুণ সব সোশ্যাল ইস্যুকে অ্যাড্রেস করে যে সিরিয়াস সিনেমা অভিষেক শাহ বানালেন, সেটি গুজরাট ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্যে যেমন বিরল, তেমনি উপমহাদেশেও এরকম সিনেমার সংখ্যা অপ্রতুল। ক্যারিয়ারের অভিষেক সিনেমাতেই যেভাবে অভিষেক শাহ মগজে ধাক্কা দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন, তাও আবার অনগ্রসর এক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মুখপাত্র হয়ে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। 

হেলারো

১০. ভালু (মারাঠি) 

মহারাষ্ট্রের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ভালুর আবাস। বলে রাখা ভালো, ভালু কোনো মনুষ্যসন্তান নন। তিনি একজন ষাঁড়। গ্রামের অধিবাসীরা তাকে 'পবিত্র বাহন' হিসেবেই জ্ঞান করে এসেছে বরাবর। কিন্তু সময় পালটায়। সবার চোখের মনি হিসেবে গন্য হওয়া 'ভানু'কে একসময়ে ভয় পাওয়া শুরু করে গ্রামবাসী। এবং এই এক ষাঁড়কে কেন্দ্র করে গ্রামের পরিস্থিতি ক্রমশই হওয়া শুরু করে ঘোলাটে। এভাবেই ছোট এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আস্তে আস্তে গল্পে ঢোকে নানা রসদ। স্যাটায়ার, হিউমার ও কমেডি'র আশ্চর্য মেলবন্ধনে উমেশ কুলকার্নির প্রথম সিনেমা তিলে তিলে রূপান্তরিত হয় উপভোগ্য এক নির্মাণে। তবে সতর্কতা এটাই, এই সিনেমাকে শুধু সাটল ট্রিটমেন্টের এক কমেডি সিনেমা হিসেবে না দেখে, দেখতে হবে মারাঠি সিনেমার প্রথাগত কনসেপ্টকে উপেক্ষা করে নির্মিত সাহসী এক সিনেমা হিসেবে। তাহলেই উপলব্ধি করা যাবে 'ভালু'র চমৎকারিত্ব।

ভালু

এটা বলা জরুরি, এই দশটি দুর্দান্ত সিনেমার বাইরেও আরো অজস্র নির্মাণ আছে, যেখানে নির্মাতারা আত্মপ্রকাশেই কাঁপিয়ে দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির ভিত্তিভূমি। পালটে দিয়েছেন সিনেমার প্রথাগত গণ্ডি। সেসব তুখোড় সিনেমা নিয়ে হয়তো অন্য কোনোদিন কথা বলার উপলক্ষ্য তৈরী হবে৷ ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা থাকুক। পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা দেখার যে ক্ষুধা তা বজায় থাকুক। সিনেমা নিয়ে গবেষণা, মাতামাতি চলুক। তাহলেই মধুরেণ সমাপয়েৎ। সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল। 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা