না ফেরার দেশে চলে গেলেন ল্যারি কিং। খ্যাতনামা এই টিভি ব্যক্তিত্ব আজ মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, মুহাম্মাদ আলী, দালাই লামা, লেডি গাগা, ভ্লাদিমির পুতিন- এমন কোন সেলিব্রিটি নেই যিনি কীনা মুখোমুখি হন নি ওনার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড থেকে শুরু করে বারাম ওবামা, আমেরিকার প্রতিটি প্রেসিডেন্টকে মুখোমুখি হতে হয়েছে তার। প্রায় ৬০ বছরের ক্যারিয়ারে ৩০ হাজারের বেশি ইন্টারভিউ নিয়েছেন তিনি। ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য ও নিউজম্যান হিসেবে যিনি অস্পৃশ্য সেই ল্যারি কিং এর কথা বলছি। বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব ৮৭ বছর বয়সে পরলোকগমন করলেন আর রেখে গেলেন অসামান্য এক লেগ্যাসি।
রেডিও থেকে শুরু করে টেলিভিশন, খবর পাঠ করা থেকে শুরু করে সাক্ষাৎকার নেয়া- ল্যারি কিং সবকিছুই দেখেছেন তার বিশাল ক্যারিয়ারে। মুখোমুখি হয়েছেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা তারকাদের, প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন দুঁদে রাজনীতিবিদদের। সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন বেফাঁস কথা বলে, রোগে জর্জরিত হয়েও ফাইটব্যাক করেছেন বারবার। বর্তমান সময়ের সকল মিডিয়া মুঘলরা একবাক্যে ল্যারি কিং এর অবদান স্বীকার করতে বাধ্য।
দ্য ল্যারি কিং শো, ল্যারি কিং লাইভ, ল্যারি কিং নাউ, পলিটিকিং উইথ ল্যারি কিং- তার প্রতিটা বিখ্যাত শো এর নাম তার নামেই রাখা হতো। কারণ মানুষ জানতো যে ল্যারি কিং যখন বলবেন তখন তার কথা শুনতে হবে। সোশিও-পলিটিক্যাল অনেক ইস্যুতেই ল্যারি কিং সবসময় সোচ্চার ছিলেন। প্রায় ৩০ বছর আগে মেজর হার্টঅ্যাটাক করেও বেঁচে ছিলেন ও ব্যস্ত ছিলেন কেবলমাত্র সাহস ও একাগ্রতার কারণে। শেষমেশ কোভিড ও বয়সের কাছে হার মানলেন তাও একে হার বলা যায় না। কারণ তিনি উপভোগ করে গেছেন তার পুরোটা জীবন। এজন্যই হয়তো বলে গিয়েছিলেন, 'I've had a great ride. I've got no complaints....'