মাত্র আশি কোটি বাজেটের 'কেজিএফ' বক্সঅফিসে তাণ্ডব চালিয়ে আয় করেছিলো আড়াইশো কোটি রূপি! এই ফ্রাঞ্চাইজির দ্বিতীয় সিনেমাও মুক্তির পরে শুরু করেছে প্রলয়, প্রথম দিনে ভারতজুড়ে আয় ১৩৫ কোটি রূপি! ধারণা করা হচ্ছে- 'আরআরআর' এর রেকর্ডও হয়তো ব্রেক করতে পারে সিনেমাটি! এবং ঠিক এরকম সময়েই প্রশ্ন আসে- এই যে তুমুল জনপ্রিয় 'কেজিএফ', এর আসলে কতটুকু গিমিক আর কতটুকুই বা স্ট্রাগল?

প্রশান্ত যখন প্রথমবার এই সিনেমার গল্প আমাকে শোনায়, ওর গল্প বলার স্টাইল আমার ভালো লাগেনি। কিন্তু ওর ন্যারেশন যেমনই হোক, গল্পের মধ্যে এমনকিছু বিষয় ছিলো, এ গল্পকে না বলা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। 

কথাটুকু ইয়াশের, যে ইয়াশ ইতোমধ্যেই 'কেজিএফ' নামের এক সিনেমায় অভিনয় করে অনেকদিন পরে রূপোলী-পর্দায় ফিরিয়ে এনেছেন সেভেন্টিজের সাব-কন্টিনেন্টাল হিরোইজমকে। এবং যে পরিচালককে নিয়ে ইয়াশ এ উক্তি করেছেন, সে পরিচালক তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা 'কেজিএফ' বানিয়ে চমকে দিয়েছেন গোটা উপমহাদেশকেই। পাশাপাশি, পালটে দিয়েছেন কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইমেজকেই। তিনি প্রশান্ত নীল।

ইতালির বিখ্যাত লেখক উমবার্তো একোর একটা প্রবন্ধে তিনি বলছিলেন- 

একটা লেখা যদি গুণগতমানে উতরে যেতে চায়, তাহলে সে লেখার লেখককে অনেকদিন ধরে বাস করতে হয় লেখার ভেতরের চরিত্রদের সাথে,  লেখার কল্পিত জগতের সাথে। যে জগৎ লেখকের তৈরী, সে জগতে তাকে দিতে হয় অনেকটা সময়। দেখতে হয় খুঁটিনাটি। বুঝতে হয় আবহ। তাহলেই শেষে এসে লেখা দাঁড়ায়। নাহয় পুরোটাই হয়ে যায় তামাশা।

নির্মাতা প্রশান্ত নীল, উমবার্তো একোর এই লেখাটা পড়েছিলেন কি না, তা জানা নেই। কিন্তু 'কেজিএফ' বানানোর সময়ে যেন তিনি প্রাণপণে আঁকড়ে ধরেছিলেন একোর বিশেষ এই বাক্যগুচ্ছকেই। 'কেজিএফ' এর যে জগৎ তার বানানো, সে জগতে তিনি বসবাস করছেন গত আট বছর ধরে। তার 'কলার গোল্ড ফিল্ডস' এর এই জগৎ এতটাই অন্যরকম, এখানে বিষাদের এতটাই বাড়বাড়ন্ত অবস্থা কিংবা এই কল্প-স্থানের শোণিত উপাখ্যান এতটাই প্রগাঢ়-জটিল-ভয়াল, দর্শক স্থানু হয়েছে। মুগ্ধ হয়েছে। সিনেমাহলে সিটি বেজেছে। বক্সঅফিসে পাগলের মত ঝড় উঠেছে। 

যতক্ষণে এই লেখাটা লেখা হচ্ছে, ততক্ষণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সিনেমা হলে তাণ্ডব উঠিয়েছে 'কেজিএফ' পার্ট টু, রকি ভাই আর আধিরার দ্বৈরথে সিনেমাহলের জায়ান্ট স্ক্রিন মুহুর্মুহু কাঁপছে। প্রথম দিনে সিনেমার আয় প্রায় ১৩৫ কোটি রূপি, হিন্দি ভার্সনে ভেঙেচুরে তোলপাড় আগেকার সব রেকর্ড। তরন আদর্শ, ফিল্ম কম্প্যানিয়ন, টাইমস অব ইন্ডিয়ারা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের মুগ্ধতা। কোনো লুকোছাপা ছাড়াই তারা উচ্চারণ করেছে সপ্রশংস উচ্ছ্বাস। এবং এখন পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, 'আরআরআর' এর রেকর্ডকেও খুব তাড়াতাড়িই ভেঙ্গে ফেলবে 'কেজিএফ-টু।' এরকম এক অবস্থাতেই তাই অবধারিতভাবে সে প্রশ্ন এসেছে মাথায়- 'কেজিএফ' নিয়ে এই যে এত মাতামাতি, আগ্রহ, এর পেছনে কারণ কী? 'কেজিএফ'এর এই যে সাকসেস, এটা কী জাস্টিফাইড? নাকি, মিডিওকার কোনো কন্টেন্টই মোমেন্টাম পেয়ে হয়েছে সর্বেসর্বা? এসব যাপিত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজবো আজ। 

দ্য মাস্টারমাইন্ড প্রশান্ত নীল

'কেজিএফ' দিয়েই শুরু করি। 'কেজিএফ' এর গল্প যদি নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করি, তাহলে সে গল্প মোটেও অন্যরকম কিছু না। সহায়সম্বলহীন এক ছেলে, মায়ের প্রতিজ্ঞা রাখতে পাড়ি জমাচ্ছে শহরে। একের পর এক শত্রুর মুখোমুখি হচ্ছে। তাদের কচুকাটা করে এগোচ্ছে ধূসর 'কলার গোল্ড ফিল্ডস' এ, সেখানে গিয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে সে, তার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে... গল্প মোটাদাগে এটুকুই। এবার, এটা তো জানা, এই স্ট্রাকচারের গল্প নানা ইন্ডাস্ট্রির মেইনস্ট্রিম সিনেমাতে আকচারই হয়েছে। হচ্ছেও। তাহলে পার্থক্য কোথায়? মূলত, প্রশ্ন এটাই। এবং এ প্রশ্নের উত্তর- পার্থক্য গল্প বলার ধরণে। যেহেতু 'মাসালা ফিল্ম' এর টার্গেট অডিয়েন্স বরাবরই আম-আদমি, সেহেতু এই সিনেমার ডায়লগ, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি কিংবা রকি ভাইয়ের পোর্ট্রেয়াল এমনভাবেই করা, যার সাথে কানেক্ট করতে পারবে সবাই। 'কেজিএফ' এর পরিচালক প্রশান্ত নীল যেমন এ জাতীয় সিনেমাকে বলেন- অ্যান্টি গ্রাভিটি ফিল্ম। অর্থাৎ, এ সিনেমায় নায়ক একাই একশো জনকে মেরে কুপোকাত করবে, কিংবা, এক বন্দুক থেকে মিনিটে একহাজারটা গুলি বের হবে... এই যে অবাস্তব সব বিষয়, এগুলোকে মোটেও অবিশ্বাস করা যাবেনা। অর্থাৎ, গল্পটাই এমনভাবে বলা হবে, দর্শক ভুলে যাবে নায়ক কি করছে। বরং, তারা মনে রাখবে, নায়ক কেন করছে। অর্থাৎ নায়কের ইমোশনের সাথে যখন অডিয়েন্সের ইমোশন মিলে যাবে, তখন যত অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটুক, দর্শক গায়ে মাখবে না। এই 'বিলিভ সিস্টেম' নিয়েই মূলত খেলেছেন প্রশান্ত নীল। তার ভাষায়-

নায়কের হাতে বন্দুক, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কেন তার হাতে বন্দুক, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মূলত অ্যাকশনের পেছনের এই ইমোশনকেই করেছি গল্পের এক্স ফ্যাক্টর।

এবং 'কেজিএফ' এর গল্পবয়ানের যে প্রধান চমক, অর্থাৎ, অ্যাকশনের সাথে ইমোশন ব্লেন্ড করে দেয়া... মূলত এ জিনিসটিই এ গল্পকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। তাছাড়া, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফিতে হলিউডি আবহ আনা (নির্মাতা নিজেই যেমন বলেছেন- 'কেজিএফ' এর অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি অনেকটাই 'দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি ' থেকে অনুপ্রাণিত), পপ কালচারের নানা উপাদান সিনেমার নানা অংশে যোগ করা... গল্পের সাথে এই উপাদানগুলো এতটাই খাপ খেয়েছে এবং সিনেমাকে নেক্সট লেভেলে পৌঁছে দিয়েছে, তা দুর্দান্ত। স্রেফ দুর্দান্ত। 

রকি-আধিরা

দ্বিতীয়ত, ক্যারেক্টারদের পোর্ট্রেয়াল। 'রকি ভাই' চরিত্রে ইয়াশের যে ম্যানারিজম, সেটা যেন সেভেন্টিজের অমিতাভ বচ্চনকেই মনে করায়। নির্মাতা প্রশান্ত নীল নিজে অমিতাভ বচ্চনের খুব বড় ভক্ত। শোলে, জাঞ্জির দেখে বড় হওয়া এ মানুষটি চাচ্ছিলেনও, তার সিনেমার নায়কের ঠাটবাট ফিরিয়ে আনুক বিগত সে স্বর্ণালি সময়কে। যদিও সেজন্যে তিনি যে ইয়াশকে চাপ দিয়েছেন বিস্তর, তাও না। ইয়াশের বেশিরভাগ ডায়লগ, যে ডায়লগে দর্শক হলে বসে সিটি বাজাবে কিংবা চেয়ারের উপরে উঠে চিৎকার করবে, সেসবের বেশিরভাগই অন-স্পট লেখা হয়েছে। ইয়াশ দৃশ্যানুযায়ী কস্টিউম পরে এসেছেন। তাকে দৃশ্য বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে হুট করে সে কিছু লাইন বলে ফেললো। আর সে লাইন এডিটেড হয়ে ঢুকে পড়লো স্ক্রিপ্টে... এরকম হয়েছে বহুবারই। এবং হয়তো সে কারণেই, আরোপিত কোনোকিছুর হ্যাপা ছিলোনা বলেই, ইয়াশ নিজের মত করেই আবির্ভূত হয়েছেন 'রকি ভাই' চরিত্রে। আবার অ্যান্টাগনিস্ট 'আধিরা' চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব নিয়ে যখন সঞ্জয় দত্তের কাছে যাওয়া হয়েছে, তিনি শিশুর মত খুশি হয়েছেন। আধিরার লুক কেমন হবে, সেটাও ঠিক করেছেন তিনি। সেটে নানা দৃশ্যে তিনিও মোডিফিকেশন করেছেন ইচ্ছেমত। এই যে শিল্পীদের ক্রিয়েটিভ লিবার্টি দেয়া, তাদের সাথে শুটিং চলাকালেও আলোচনা করা... এটা প্রশান্ত নীলের স্টাইল। এবং ঠিক এ কারণেই, পর্দায় প্রতিটি চরিত্রের অবয়ব হয়েছে খোলতাই। অনবদ্য। এই শিল্পীরা তাই স্ক্রিপ্ট মুখস্ত করে এসে অঙ্কের মত অভিনয় করে যাননি, করেছেন ইচ্ছেস্বাধীন অভিনয়। ফলাফল? মানুষ খুব ভালোভাবে রিলেট করতে পেরেছে চরিত্রগুলোর সাথে। এবং শুধু যে প্রোটাগনিস্ট কিংবা অ্যান্টাগনিস্ট চরিত্রই এমন স্বাধীনতা পেয়েছে,  তাও না, প্রত্যেক কুশীলবই পেয়েছেন নিজের স্বস্তিমত কাজ করার সুযোগ! 

সব চরিত্রই পেয়েছে নিজেদের মত অভিনয়ের সুযোগ! 

তৃতীয়ত, মার্কেটিং অ্যান্ড প্রমোশন। কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি'তে ভালো সিনেমা হয় না, বিষয়টা এমন না। অজস্র হয়। কিন্তু কেন যেন, লাইমলাইটই পাওয়া হয়না সিনেমাগুলোর। যে আক্ষেপ প্রযোজ্য মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেও। যদিও সময়ের সাথে মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রি তাদের লেভেল বাড়িয়েছে। সিনেমার ক্রাফটিং এর পাশাপাশি মনোযোগ দিয়েছে প্রমোশনের দিকেও। এবং ঠিক এখানেই বহুদিন পিছিয়ে ছিলো কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। প্রশান্ত নীল যখন ভাবলেন, তিনি 'কেজিএফ' বানাবেন, তার সিনেমার মার্কেটিং দরকার, তিনি চলে গেলেন হোম্বালে ফিল্মস এর এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার এর কাছে। সে প্রোডিউসার ন্যারেশন শুনেই বুঝলেন, এ সিনেমা ঠিকঠাকভাবে বানাতে পারলে অসাধারণ কিছুই আসবে। কিন্তু তাও চিন্তা থাকেই। নবীন পরিচালক, এত লার্জ স্কেলের কাজ, তাও আবার কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির... শেষপর্যন্ত ভজঘট পাকাবে না তো? অনেক অনিশ্চয়তা সত্বেও 'হোম্বালে ফিল্মস' লেগে রইলো। যোগাযোগ করা হলো বলিউডের 'এক্সসেল এন্টারটেইনমেন্ট' এর সাথেও। তারা এই সিনেমার চার মিনিটের শো-রিল দেখে যারপরনাই মুগ্ধও হলো। কিন্তু ফের, আগের চিন্তা আবারও, কিভাবে মার্কেটিং করা যাবে এ সিনেমার?

আস্তে আস্তে পরিকল্পনা হলো। একাধিক প্রমোশনাল স্ট্রাটেজি আনা হলো। আইটেম নাম্বার 'গালি গালি' গানকে স্পেশালি শুট করে নর্থ-ইন্ডিয়ান বেল্টে ছাড়া হলো। ইউটিউব ইনফ্লুয়েন্সারদের জোগাড় করা হলো, যতরকম কোলাবোরেশান করা দরকার, করা হলো সব। এই সিনেমার সংশ্লিষ্টরা তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সবখানে গেলেন প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনে, ইন্টারভিউতে। ফলাফল- ৮০ কোটির সিনেমা ব্যবসা করলো ২৫০ কোটি! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিনেমা নিয়ে এরকম খ্যাপাটে ও স্মার্ট প্রমোশন আরেকজনই করেন- এস এস রাজামৌলি। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই 'হোম্বালে ফিল্মস' এবং 'এক্সসেল এন্টারটেইনমেন্ট' এমন এক অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং এ নামলো, যা এই সিনেমাকেই পৌঁছে দিলো অন্য হাইপে। এবং যে হাইপ বজায় রইলো, 'কেজিএফ-টু' এর ক্ষেত্রেও। 'রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর' এর সাথে কোলাবোরেশান, ভারতের প্রায় সমস্ত 'এন্টারটেইনমেন্ট হাব' এর সাথে কোলাব করা, হলো সবকিছুই। 

প্রথমবার যখন প্রশান্ত নীল, ইয়াশকে 'কেজিএফ' এর গল্প পড়ে শোনায়, সে গল্পে 'কলার গোল্ড ফিল্ডস' এর ভূমিকা ছিলো খুবই কম। গল্প শুনে ইয়াশ প্রস্তাব করে- 

কেমন হয় যদি গল্পটার অধিকাংশই আমরা এই 'কলার গোল্ড ফিল্ডস' এ পিচ করি?

প্রশান্ত নীল বিষয়টা নিয়ে ভাবলেন এবং রাজি হয়ে গেলেন। আল্টিমেটলি সিনেমার নামও হয়ে গেলো 'কেজিএফ।' যে সিনেমা বোঝালো, 'মাসালা মুভি'র যুগ শেষ হয়ে যায়নি এখনও। যে সিনেমা এও বোঝালো, ঠিকঠাকভাবে গল্প বলতে পারলে, ঠিক জায়গায় ইমোশন দিতে পারলে, এখনও মানুষকে নানা বিভ্রান্তিতে চমকে দেয়া যায় ক্ষণেক্ষণে। এক্ষেত্রে অবশ্য প্রশান্ত নীল পুরো ক্রেডিট রাজামৌলিকেই দেন। তিনি বলেন-

রাজামৌলি স্যারের 'বাহুবলি' সিরিজই মূলত সিনেমাহলে কমার্শিয়াল সিনেমার যুগ আবার ফিরিয়েছে। নাহয় মাঝের একসময়ে তো মেইনস্ট্রিম সিনেমাগুলো বন্ধই হয়ে যাচ্ছিলো। তিনিই মূলত দেখিয়েছেন, জঁরা সমস্যা না। গল্প বলতে না পারাই সমস্যা। সেখান থেকেই মূলত অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমি।

যার সিনেমা থেকে অনুপ্রেরণা পেলেন প্রশান্ত নীল, নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় সিনেমায় এসে তিনিই টক্কর নেবেন সেই পরিচালকের ম্যাগনাম ওপাস ফিল্ম 'আরআরআর' এর সাথে, বিউটি অব আর্ট মনেহয় এটাই। প্রথমে পুষ্পা, এরপর আরআরআর, এখন কেজিএফ টু...উপমহাদেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষ এখন কোনটা ছেড়ে কোনটাকে প্রাধান্য দেবে, তা নিয়ে যে মধুর এক সমস্যাতেই আছে... তা বোধহয় আলাদা করে না বললেও চলে। এবং ঠিক এ পর্যায়ে এসেই বোঝা যায়, 'কেজিএফ' এর ব্রিলিয়ান্স! এক অনুন্নত ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসে, যেভাবে সে টক্কর দিচ্ছে বাঘা বাঘা ইন্ডাস্ট্রির বাঘা নির্মাতাদের সিনেমার সাথে, তা সম্ভ্রমই জাগায়। এবং এই যে অসাধ্যসাধন, সেটা মূলত তাদের শ্রমেরই ফসল। তাদের যাপিত সংগ্রামের ফসল। এবং সেজন্যেই 'কেজিএফ' এর এই সাফল্য গিমিক তো না-ই, বরং তারা যোগ্যভাবেই এই সাফল্যের দাবীদার। 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা