ওয়ার্ল্ড সিনেমার ইতিহাসে অবিশ্বাস্য রেকর্ড কেজিএফের!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
কেজিএফ কেবল সিনেমা না, একটা মিথ হয়ে থাকতে যাচ্ছে!
কেজিএফ ২ এর টিজার রিলিজের পর থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল যে এই সিনেমা ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। কিন্তু মাত্র ৪৫ ঘণ্টায় সব রেকর্ড ভেঙে ফেলবে সেটা কি আদৌ কারও কল্পনাতে ছিল? রেকর্ড বলতে কান্নাডা সিনেমার জন্য রেকর্ড না, বলিউডের সিনেমার জন্য রেকর্ড না, এমনকি ইন্ডিয়ান সিনেমার জন্যও রেকর্ড না। কেজিএফ ২ এর টিজার বিশ্বরেকর্ডই ভেঙে ফেলেছে। অবিশ্বাস্য, স্রেফ অবিশ্বাস্য।
ইন্ডিয়ান সিনেমা কোন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে তা হয়তো আমরা ঘরে বসে টের পাচ্ছি না। বিগত ৫-৬ বছরে বাহুবালি, দঙ্গলের মতো সিনেমাগুলো ইন্ডিয়ান অডিয়েন্স ও বক্স অফিসের যে ম্যাসিভ পুল দেখিয়েছে সেটা ইতিহাস গড়ার মতো। বাহুবালির মতো রিজিওনাল সিনেমা বলিউডের বক্স অফিসে ৫০০ কোটি রুপির বিজনেস করেছে। দঙ্গল চীনে গিয়ে হাজার কোটি রুপির ব্যবসা করে এসেছে। না, হলিউড অনেক দূরের পথ। তবে আর কোন ইন্ডাস্ট্রিই কিন্তু এরকম গ্রোথ দেখাতে পারে নি।
ইন্ডিয়ার সেরকম সিনেমা লাভিং পপুলেশন আছে সবসময় থেকেই, কিন্তু সেটার সাইজ আসলে কতো? বাহুবালি দেখিয়ে দিয়েছে যে হাইপ যদি তুমুল থাকে তাহলে নর্থ ইন্ডিয়া, সাউথ ইন্ডিয়া সবই এক হয়ে যেতে পারে। তামিল, তেলেগুর তুলনায় কান্নাডা ইন্ডাস্ট্রি আরও ছোট। কিন্তু সেখান থেকেই উঠে এসেছে কেজিএফ। কেজিএফ প্রথম পর্বের তুমুল জনপ্রিয়তা, এই কয়েক বছরে গড়ে ওঠা কাল্ট ফলোয়িং কেজিএফ ২ কে যে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে তা ধারণা করা যাচ্ছিল। কিন্তু সেটা কোন উচ্চতায়? বাহুবালির রেকর্ডও কি ভেঙে যাবে? কেজিএফ কি হতে পারবে সর্বকালের সবচেয়ে সফল ইন্ডিয়ান সিনেমা?
জবাবটা টিজার দিয়ে দিয়েছে কেজিএফ টিম ও দর্শকরা। মাত্র ৪৫ ঘণ্টায় কেজিএফ ২ এর টিজার অতিক্রম করেছে ১০০ মিলিয়ন ভিউ।
১০ কোটিবার আর কোন টিজারই দেখা হয় নি কান্নাডা সিনেমার ইতিহাসে।
১০ কোটিবার আর কোন টিজারই দেখা হয় নি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে।
এমনকি ১০ কোটিবার আর কোন টিজারই দেখা হয় নি ওয়ার্ল্ড সিনেমার ইতিহাসে।
তাহলেই বুঝুন। এটা তো স্রেফ টিজার। ট্রেইলারে কী হবে? মূল সিনেমায় কোন ইতিহাস নতুন করে ভাঙতে যাচ্ছে কেজিএফ? নাকি নতুন ইতিহাসই লেখা হবে তার জন্য। অপেক্ষার প্রহর বাড়ছেই।