ভালোবাসা দিবস মানেই যেন ক্লোজআপের কাছে আসার গল্পের জন্য অপেক্ষা। এবারও তিনটি শর্টফিল্ম মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় এই সিরিজের। কেমন হলো 'অথবা প্রেমের গল্প', 'একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে' এবং 'শূন্য থেকে শুরু' নামের এই তিনটি শর্টফিল্ম?
প্রতিবারের মত এবারও আয়োজন করা হয়েছিল ভালোবাসা দিবসের সবচেয়ে জনপ্রিয় শর্টফিল্ম সিরিজ ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প। তবে গত দুইবার অসমাপ্ত গল্প হলেও এবার সেইরকম কোন প্রতিপাদ্য ছিল না। মোট তিন গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে তিনটি শর্টফিল্ম।
১. অথবা প্রেমের গল্প
গ্রামে আসা এক শহুরে তরুনী ফোনের জন্য ব্যতিকব্যস্ত। কিন্তু তাকে ফোন দেয়া হয় না। লুকিয়ে একটা দোকান থেকে ফোন করতে যায় নিয়মিত, তাকে ভালো লেগে যায় সেই দোকানের মালিকের ছেলের। এরপরই এগিয়ে যায় গল্প, যেটার শেষ হয়েছে মুগ্ধতা ছড়িয়ে। শুরুর দিকটা অনেকেই ভাবতে পারেন ভারতের একটা জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের সাথে মিলের কথা, তবে এটার চিত্রনাট্য পুরোই ভিন্ন। অভিনয়ে শাওন সব সময় ই চমৎকার, তরুন তুর্কির মধ্যে তাকে অভিনয়ে নিলে নির্মাতারা নির্ভার থাকতে পারেন। নাজিফা তুষিকে অনেকদিন বাদে দেখা গেল। ভালোই করেছেন,তবে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লেগেছে।
রায়হান রাফির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা নির্মান, ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে উনার নির্মানে এটাই বেশি ভালো লেগেছে। তবে সবচেয়ে বেশি বাহবা পাবেন চিত্রগ্রাহক রাজু রাজ, তার অনিন্দ্যসুন্দর সিনেমাটোগ্রাফি এই শর্টফিল্মের মূল প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর নিশ্চিত এই শর্টফিল্মের পর সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেকের জনপ্রিয়তা অনেকগুণ বেড়ে যাবে। অনেকগুলো সুন্দর দৃশ্য দেখা হয়েছে আমাদের।
২. একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
উবারে চালানো গাড়ি ড্রাইভারের সঙ্গে এক কস্টিউম ডিজাইনের কাছে আসার গল্প এটি। বাকি দুটোর চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল গল্প মনে হলেও অনম বিশ্বাস তার বুদ্ধিদীপ্ত চিত্রনাট্যে বেশ আগ্রহ জাগানিয়া কাজ করেছেন। অভিনয়ে খায়রুল বাশার খুবই ভালো করেছেন, গতবারের মতো এবারও তার উপস্থিতি আগ্রহ বাড়িয়েছে, বেশ চার্মিং লেগেছে। টয়া চলনসই তবে বিরক্তিকর লেগেছে টয়ার এসিস্ট্যান্টরূপী চরিত্রটিকে। আজকের যুগে এসে হাসির পাত্র বানানোর জন্য এমন চরিত্র রাখা হতাশাজনক। অনেকগুলো দৃশ্যের মধ্যে শাপলা ফুল দেয়ার দৃশ্যটা অনেকদিন মনে থাকবে।
৩. শূন্য থেকে শুরু
শঙখ দাশগুপ্তের নির্মানে বছর চারেক পর এই সিরিজে ফিরলেন কাছে এক সময়ের আসার গল্পের নিয়মিত তারকা তাহসান। গল্পে তিনি একজন লেখক, তবে সামাজিকতায় থাকেন না। দূরে পাহাড়ে বসবাস, সেখানকার ছেলেদের পড়ান। তার ইন্টারভিউ নিতে আসে এক তরুনী সাংবাদিক। এরপর এগিয়ে যায় গল্প। শুরুটা ধীরলয়ে বলা যায় পরিচিত গল্প। তবে শেষটা ভালোভাবে হওয়ায় নাটকটা প্রশংসা পাবে। তাহসানের পরিশীলিত অভিনয়ের সঙ্গে সুনেরাহ প্রথমদিকে তাল মিলাতে না পারলেও শেষে ভালো করেছেন।